এলিজাবেথের তৃতীয় স্বামী ফিল্ম পরিচালক টড বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। তার পর তিনি বিয়ে করেছিলেন এডি ফিশারকে। বাকি ক্ষেত্রে বিয়ে করেছিলেন বিবাহবিচ্ছেদের পরে। এডি ছিলেন তার বান্ধবী ডেবি রেনল্ডসের স্বামী। লিজকে বিয়ের জন্য ডেবিকে ডিভোর্স করেছিলেন টড।
এলিজাবেথের কেরিয়ারে মাইলফলক সিনেমা হল ‘ক্লিওপেট্রা’। যশ, খ্যাতি, অর্থ সব কিছু তাকে দিয়েছিল এই ছবি। সেই সঙ্গে দিয়েছিল জীবনসঙ্গী রিচার্ড বার্টনকেও। এই ছবির সেটেই দু’জনের পরিচয়। বার্টনকে দু’বার বিয়ে, দু’বার ডিভোর্স করেছিলেন লিজ। নায়িকা বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে রিচার্ড মারা না গেলে তিনি আরও একবার বিয়ে করতেন তাকে।
আট বার বিয়ে থেকে মোট চারটি সন্তানের মা হয়েছিলেন এলিজাবেথ। মাইকেল ওয়াইল্ডিং ও এলিজেবেথের দুই ছেলে। মাইকেল জুনিয়র এবং ক্রিস্টেফার এডওয়ার্ড। মাইক টডের সঙ্গে তার বিয়েতে জন্ম কন্যা লিজার। রিচার্ড বার্টন ও এলিজাবেথ টেলরের কন্যার নাম মারিয়া বার্টন।
জীবনে মোট পাঁচবার অস্কার’র জন্য মনোনীত হয়েছেন এলিজাবেথ। পেয়েছেন দু’বার। ‘হুজ অ্যাফ্রেড অব ভার্জিনিয়া উল্ফ’ এবং ‘বাটারফিল্ড ৮’ ছবিতে অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার।
৬৭ বছর বয়সে এলিজাবেথ টেলর সম্মানিত হন ‘ডেম কম্যান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে সম্মানিত করেন।
খুব ভালবাসতেন সুগন্ধি। এক মুহূর্তও থাকতে পারতেন না পারফিউম ছাড়া। নিজেও বানিয়েছিলেন একটি সুগন্ধি। ভক্তরা সেই পারফিউমের নাম দিয়েছিলেন ‘ভায়োলেট আইজ’। রিচার্ড বার্টন তাকে ৩৩.১৯ ক্যারাটের হিরের আংটি উপহার দিয়েছিলেন। হিরের নাম হয়েছিল ‘দ্য এলিজাবেথ টেলর ডায়মন্ড’।
তার মৃত্যুর পরে নিলাম হয়েছিল এলিজাবেথ টেলরের বিপুল অলংকার সম্ভার। ক্রিস্টির নিলামে গয়নার দাম উঠেছিল কয়েক মিলিয়ন ডলার। পুরো টাকাই ব্যবহৃত হয়েছিল এলিজাবেথ টেলরের নামাঙ্কিত এইডস গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থায়।
বার্ধক্যে পৌঁছে দীর্ঘ দিন রোগাক্রান্ত ছিলেন এলিজাবেথ টেলর। ডায়াবেটিস, হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি, হৃদরোগ, ব্রেন টিউমার-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ২০ বছর অসুস্থ থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছিল ২০১১ সালের ২৩ মার্চ।
তাকে ‘লিজ’ বলা হলেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই ডাক পছন্দ করতেন না। তার মনে হত, ‘লিজ’ ডাকটা সাপের ‘হিশশ’-এর মতো শোনায়!
বিডি প্রতিদিন/কালাম