ভারতের জি বাংলার ‘সা রে গা মা পা’র এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা। প্রতিযোগিতায় প্রথম হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন ২ লাখ রুপি ও একটি নতুন গাড়ি। মানুষের কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন অঙ্কিতার পড়াশোনা, গান নিয়ে চিন্তা, গানের জগতে তার পছন্দের মানুষ, বিভিন্ন পছন্দ এবং আগামী দিনের পথচলা কেমন হবে সবই জানতে চায় মানুষ।
পাঠকদের জন্য তার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো- পুরো নাম অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙার মেয়ে সে। পরিবারে সকলেই ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার। তবু সেই বাড়ির মেয়ে অঙ্কিতার গানের পথে বাধা সৃষ্টি করেনি কেউ। বরং সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি মা-ঠাকুমার কাছ থেকে। বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া অঙ্কিতা গানের সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে চান। গত সাত বছর ধরে অঙ্কিতা গান শিখছেন রথীজিৎ ভট্টাচার্যের কাছে। তার পছন্দের শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল, অরিজিৎ সিংহ। তার আইডল আশা ভোঁসলে। কিশোর কুমারের গান গাইতেও ভালবাসেন তিনি। নাচ, আবৃত্তি ও অভিনয়েরও শখ রয়েছে অঙ্কিতার। মায়ের হাতের মিক্সড ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন তার ফেভারিট।
আগামী দিনে গান নিয়ে নিজের ইচ্ছার সম্পর্কে অঙ্কিতা জানান, তার লক্ষ্য প্লেব্যাক সিঙ্গার হওয়া। ইউটিউবের মাধ্যমে নিজের গান শ্রোতার কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি। বিভিন্ন শো ছাড়াও অনেক কনসার্টে গান করতে চান- যেখান থেকে তিনি বাড়তি যোগাযোগ ও পরিচিতির আশা করেন। অঙ্কিতা জানান, তার মা-ও নাকি গানের চর্চা করতেন। তবে অঙ্কিতার জন্মের পর তা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সেটা নিয়ে খারাপ লাগা ছিল তার।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা এবং দ্বিতীয় রানারআপ অর্থাৎ তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল। অঙ্কিতা এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন ২ লাখ রুপি ও একটি নতুন গাড়ি। রবিবার রাতে প্রচারিত এই গানের রিয়েলিটি শো'র গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারকদের রায়ে যৌথভাবে প্রথম রানারআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও মাঈনুল আহসান নোবেল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক