“সুশান্তের মাথায় অদ্ভুত সব ‘অতিপ্রাকৃতিক চিন্তা’ ঢোকাত রিয়া। ওঁর টাকা-পয়সা, সম্পত্তি, ক্যারিয়ার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত রিয়াই।” মৃত্যুর ৬৯ দিন পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন সুশান্ত সিং রাজপুত এবং তার তথাকথিত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর ‘কমন’ বন্ধু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বন্ধু সুশান্ত এবং রিয়ার সম্পর্ককে 'weird and off' বলেও বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “সুশান্ত এবং রিয়া দু'’জনের সঙ্গেই আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। আমি প্রায়ই ওঁদের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যেতাম। পার্টি করতাম।”
সুশান্তের বন্ধু রিয়ার সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, “সব ঠিক থাকলে ওঁদের সম্পর্কের মধ্যে অদ্ভুত একটা ব্যাপার ছিল। সুশান্তের মাথায় অদ্ভুত সব ‘অতিপ্রাকৃতিক চিন্তা’ ঢোকাত রিয়া। ওঁর টাকা-পয়সা, সম্পত্তি, ক্যারিয়ার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত রিয়াই।”
বন্ধুর দাবি, সুশান্তের জন্য ওষুধ নিয়ে আসতেন রিয়ার বাবা। সেই ওষুধই নিয়মিত খেতেন তিনি। তবে কী ওষুধ আনতেন রিয়ার বাবা, সেই ওষুধ কে খাওয়ানোর জন্য প্রেসস্ক্রাইব করতেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনও তথ্য দেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। শুক্রবারই সুশান্তের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার জন্য এইমস-এর একটি বিশেষজ্ঞদল গড়া হয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই দলটির প্রধান অভিজ্ঞ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সুধীর গুপ্তা। শিনা বরা বা সুনন্দা পুষ্করের মতো হাই ভোল্টেজ মামলাতেও ময়নাতদন্ত হয়েছে তারই নেতৃত্বে। পাশাপাশি শনিবার সুশান্তের ফ্ল্যাটে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে সিবিআই। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং রাঁধুনি নীরজকে। রবিবার সিদ্ধার্থ এবং নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই’র তদন্তকারী গোয়েন্দারা। এরপর ফের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
সূত্রের খবর, নীরজ, সিদ্ধার্থ এবং সুশান্তের ফ্ল্যাটের পরিচারকের কথার মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ফলে তাদের ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাশাপাশি, সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে তলবের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথায় রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা, তা অবশ্য জানা যায়নি। সূত্র: নিউজ১৮
বিডি প্রতিদিন/কালাম