ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশকে নিজেদের সন্তান দাবি করে এবার দেশটির মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেই বয়স্ক দম্পতি।
ছয় বছর আগের মামলায় ফের জড়ালেন এই তারকা। যে মামলায় ওই বয়স্ক দম্পতি দাবি করেছিলেন, তারা-ই ধানুশের জন্ম দিয়েছেন। তাদের দাবি, ধানুশ তাদের তৃতীয় সন্তান। তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলার মেলুরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছিলেন তারা। ২০১৬ সালে পত্রিকার শিরোনাম দখল করেছিল এই ঘটনা। সেই মামলা নিয়ে আবার জলঘোলা শুরু হল।
কী দাবি ছিল ওই দম্পতির?
কাথিরেসান এবং মীনাক্ষীর (বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নাম) দাবি অনুযায়ী, ধানুশকে তারা জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় ধানুশ নাকি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন চেন্নাইতে। অভিনেতা হওয়ার শখ ছিল তার। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলেও অভিযোগ ওই দম্পতির। তাদের দাবি, তাদের ‘সন্তান’ মাসে ৬৫ হাজার রুপি করে পাঠালে তাদের সুবিধা হয়। কারণ আর্থিক অনটনে ভুগছেন তারা।
দম্পতি নাকি বহু দিন ধরে তাদের তৃতীয় সন্তানের খোঁজ করছিলেন। কিন্তু সফল হননি। এক সময়ে পর্দায় ধানুশকে দেখে তারা চিনতে পারেন বলে দাবি। চেন্নাইতে গিয়ে ধানুশের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেতা নাকি দেখা করেননি।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ধানুশ সেই মামলায় জিতে যান। আদালত দম্পতির আবেদন খারিজ করে দেন। ধানুশ সে সময় মেডিকেল পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। কিন্তু তার ফলাফলে নির্দিষ্ট কিছু ছিল না।
তামিল পরিচালক কস্তুরী রাজা এবং বিজয়লক্ষ্মীকেই নিজের বাবা-মা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ধানুশ। কস্তুরী রাজা-বিজয়লক্ষ্মী এই দাবি প্রমাণের জন্য ধানুশের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। আবেদনকারী বৃদ্ধ দম্পতি অবশ্য সেসব মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত এই লড়াই চলেছিল।
এবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সেই দম্পতি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম