২২ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:২৭

অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকা উচিৎ

আনিসুর রহমান মিঠু

অন্তত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকা উচিৎ

আনিসুর রহমান মিঠু

স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন ধাপ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। মানুষ সেখানে স্থানীয় ভাবে জনপ্রিয়, সৎ, আঞ্চলিকতা, আত্মীয়তা ইত্যাদি বিবেচনা করে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বানাতে পছন্দ করে।

ইউনিয়ন পরিষদের ভোট মানে গ্রামাঞ্চলে প্রাণের সঞ্চার, উৎসবমুখরতা, রাত জেগে চায়ের আড্ডা। ইউনিয়নের অনেক বাসিন্দা আছেন, যারা ইউনিয়নটাকেই পৃথিবী ভাবেন। মামলায় পড়লে কিংবা মামলা করতে তারা জীবনে দুই-চার বার শহরে আসেন, আর মরার আগে একবার হাসপাতালে যাবার জন্য শহরে আসেন। 

এই সহজ সরল মানুষদের ভোটদানের ক্ষমতা খর্ব হলে তারা অনেক ব্যাথিত হন। তারা কতটা তুচ্ছ এবং অসহায় তা বুঝতে পারেন। 

তারা চায় তাদের ভোটে চেয়ারম্যান মেম্বার হবে এবং তাদের কথামতো এরা চলবে। তাদের উপর খবরদারী করা চেয়ারম্যান মেম্বার তারা চান না।

দলীয় মনোনয়ন চালু হওয়ায় সে ক্ষেত্রটি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। দলের উচ্চ পর্যায় থেকে বেশি ভাগ এলাকাতেই নিম্ন মানের নেতা পছন্দ করে, মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে।

জনপ্রিয়রা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহেবেরা কেউ কেউ, তার এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে জাহির করছে।

চেয়ারম্যান সাহেবদের অপকর্মের ভাগ কিছুটা হলেও দলের জনপ্রিয়তা বিনষ্টে ভূমিকা রাখছে  তারা নির্বাচিত হওয়ার পর আরো বেশি অ-জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চেয়ারম্যান সাহেবদের অনেকেরই এখন বড় চাকার গড়ি আছে! ঢাকায় বাড়ি আছে। থানায় বেস কদর আছে। 

তাদের দাপটে ভদ্রলোকরা সেচ্ছায় এলাকা ছেড়ে শহরে গিয়ে ভাড়া বাসায় থাকছে। রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

বৈধ ব্যবসার পাশা পাশী, অবৈধ ব্যবসাও কে কিভাবে করবে, সে বিষয়েও কোন কোন চেয়ারম্যান পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে শুনা যায়!

ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ এমনকি দলীয়ভাবে কাউকে সমর্থন দেয়াটিও আমার অপছন্দ।

অনেক উপজেলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিতে গিয়েও মাননীয় মহোদয়রা বাণিজ্য করেন! এমন কথা শুনা যায়, তাদের এতো টাকা কেন দরকার?  কয়শো বছর বাঁচবেন তিনারা? কার জন্য এত টাকা জমিয়ে যাচ্ছেন তারা?

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর