কায়িক পরিশ্রমের অভাবে সৌদি আরবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশটির ২৪ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আগামী ২০৩০ সালে এ হার ৫০ শতাংশে পৌঁছবে।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, সৌদি আরবে মানুষ মোটা হয়ে যাচ্ছে এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবেও দেশটির মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে দেশটির ৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠান একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্পে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়াও খাদ্যাভাস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কম্যুনিটিভিত্তিক শরীর চর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ বাস্তবায়ন চলছে।
সৌদি সোসাইটি ফর ডায়াবেটিস এন্ড এন্ডোক্রিনোলজি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ আল-তুর্কি বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক এবং এ বিষয়টি সৌদি নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্যে নেতিবাচক। একই সঙ্গে এত বিপুল হারে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে তার একটা ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।
প্রিন্স আব্দুল আজিজ আল-তুর্কি জানান, বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে যাতে ২০৩০ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৫ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়।
দেশটির ডায়াবেটিস ফেডারেশনের মহাসচিব কামিল সালমা বলেন, মোটা হয়ে যাওয়ার দিক থেকে সৌদি আরবের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবের ৩৬ ভাগ মানুষ মোটা হয়ে গেছেন। শিশুদের অন্তত ১৮ ভাগ মোটা হয়ে যাওয়ায় সৌদি আরবে অন্তত ৩০ লাখ শিশু অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিপাকে রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসব শিশুর অন্তত অর্ধেক শিশু ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
এদিকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সৌদি আরব সরকারকে বছরে খরচ করতে হচ্ছে ১০ বিলিয়ন ডলার। যা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের ৩৪ ভাগ। সূত্র: আরব নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/১৮ জানুয়ারি ২০১৫/আহমেদ