জীবনের যে দিনটা হওয়ার কথা ছিলো সবচেয়ে আনন্দের আর খুশির তা পরিণত হলো বিষাদক্লিষ্টে। চেচনিয়ার হতভাগা এক কিশোরীর সুন্দর চেহারাটাই যেন কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো তা আনন্দময় জীবনের পথে। কয়েকটি দিন সারাক্ষণ মুখ ভার করে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়িয়েছেন। মুখে ছিল না কোনো কথা, ছিল না হাসি। কি আর করা! মনটাকে পাথর করে শেষ পর্যন্ত সই করে দিতে বাধ্য হলেন বিয়ের চুক্তিপত্রে।
বলছিলাম চেচনিয়ার কিশোরী লুইযা গয়লাবিয়েভারের কথা। বয়স তার মাত্র ১৭ বছর। এই কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছেন চেচনিয়ার পুলিশ প্রধান ৪৭ বছর বয়সি নাজহুদ গুচ্চিগোভ। তার আগের স্ত্রী রয়েছে এবং সেই ঘরে এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। জোরপূর্বক নিজের বউ বানানো কিশোরী লুইযার বয়সের সমান তার ছেলের বয়স।
মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য আগেও কয়েকবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই পুলিশ প্রধান। কিন্তু মেয়েটি এবং তার পরিবার প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল। রাজী না হওয়ায় এক পর্যায়ে ওই মেয়েকে প্রকাশ্যে তুলে নেবার হুমকি দিয়েছিলেন নাজহুদ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই মেয়েটির পরিবার বিয়েতে রাজি হয়।
এদিকে, বিতর্কিত এ বিয়ে নিয়ে চেচনিয়া এবং রাশিয়ায় তুমুল সমালোচনা চলছে। বালিকাকে বিয়ে, তাও জোর করে! ওই পুলিশ প্রধানের কেনো শাস্তি হবে না এমন প্রশ্ন তোলা হলে রাশিয়ার শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার ইলা পামফিলোভা অবশ্য বলেছেন, চেচনিয়ার মেয়েদের ২৭ বছর বয়সেই গালের চামড়া ঝুলে যায়। ফলে বিয়েটা বৈধই বলতে হয়!
তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদে রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনায় ঝড় বয়ে যায়। এর পরিপেক্ষিতে ইলা পামফিলোভা অবশ্য তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মে ২০১৫/শরীফ