ভারতীয় উপমহাদেশে ছেলে সন্তানের বাস্তবতা এই, ছেলে হচ্ছে অবলম্বন। এখনও অনেক দম্পতি একটি ছেলের আশায় বছর বছর সন্তান নিচ্ছেন। এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে। ফি বছরই সন্তানের পরিকল্পনা। আর বছর বছর কন্যা সন্তানের জন্ম। আবার নতুন করে ছেলের ভাবনা। এভাবেই ওই নারী ১৫ টি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
কর্নাটকের বিদার। দিনমজুরি করে সংসার চালান শেঠানি বাই আর তাঁর স্বামী গোবর্ধন রাঠৌর। দারিদ্র্যের কারণে সংসার চালাতে গলদঘর্ম অবস্থা। কিন্তু ছেলের আশাতেই বছর বছর অন্ত:সত্ত্বা হন শেঠানি বাই। প্রতিবারই কোল আলো করে আসে মেয়ে। গত ১৫ বছরে এভাবেই ১৫ টি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শেঠানিবাই। এর মধ্যে ছজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ জুন শেঠানির ছোট মেয়ের জন্ম হয়। তারপর থেকে খোঁজ নেই স্বামী গোবর্ধনের। কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকেন গোবর্ধন। স্ত্রীর ফোনও ধরছেন না। ছোট মেয়েটিকে তাই আর বাড়ি আনতে পারেননি শেঠানি। হাসপাতালেই রেখে এসেছেন।
তাঁর করুণ আর্তি, আমি কী করতাম? খাব কী জানি না? সরকারও কিছু দিচ্ছে না। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। তাই মেয়েটাকে হাসপাতালেই রেখে এলাম। দিন মজুরির সংসারে এতগুলো পেট। সংসার চালানোর সঙ্গেই মেয়েদের বড় করে তোলার চিন্তা। তারমধ্যেই তিনজনের বিয়ে দিয়েছেন। বাকিরা শৈশব থেকেই সামিল হয়েছে রুজির ব্যবস্থা করতে। শেঠানি বলেন, আমাদের নিজেদের জমি জায়গা নেই। অন্যের জমিতে ঘর বানিয়ে আছি। কোনরকমে খাবারের ব্যবস্থা করি। জি নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ জুলাই, ২০১৫/ রোকেয়া।