গ্রিন টি। এর রয়েছে বহুমাত্রিক উপকারিতা। এটি পানে স্লিম থাকে শরীর। এটি গবেষকদের মত। এই চায়ে তারা এমন এক উপাদান পেয়েছেন যা শরীরে শ্বেতসার কমাতে সাহায্য করে। অন্য খাবার থেকে সে শর্করা শরীরে জমা হয় এই চা তা হটিয়ে দেয়। ফলে গ্রিন টি মেদ কমায়, সেইসঙ্গে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
'গ্রীন টি'র উপকারিতা জানতে একটি গবেষণাও করা হয়েছে। এতে ১৯ থেকে ২৮ বছর বয়সী ২৮ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদেরকে প্রথমে এক বাটি করে কর্নফ্লেকস খেতে দেন গবেষকরা। এরপর পরীক্ষার আগে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা না থেয়ে থাকার নির্দেশনা ছিল তাদের প্রতি।
পরীক্ষা শেষ করে তাদের একটি করে ওয়েফার খেতে দেওয়া হয়। এই ওয়েফারের মধ্যে কতগুলোতে সবুজ চায়ের উপাদন দেওয়া। এরপর অংশগ্রহণকারীদের ফের ল্যাবরেটরিতে আনা হয়। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পরীক্ষা নেওয়া হয় শর্করার মাত্রা দেখার জন্য। হজমের পর শর্করা যখন ভেঙ্গে যায় তখন নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা ধরা পড়ে। ল্যাব টেস্টে দেখা যায়, যারা গ্রিন টি থেয়েছেন তাদের নিঃশ্বাসে শর্করার হার বেশি। পোল্যান্ডের পোজনান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জারস্লো ওয়াকোউঅ্যাক গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্রিন টি পানীয় হিসেবে গ্রহণের চল আছে। তবে তা সাধারণভাবেও খাবারের মধ্যে ব্যবহার করা যায়। দামেও কম, আর খেতেও খারাপ না। সুতরাং যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এই চা বেশ উপকারি ভূমিকা পালন করবে।
গ্রিন টিতে বেশ কিছু উপকারী উপাদান থাকে। এর মধ্যে পলিফেনলস নামে একটি রাসায়নিক শরীরের সঙ্গে শর্করা মিশে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ফলে নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে তা বেরিয়ে যায়। পানীয় হিসেবে খেলে এই পলিফেনলসের মাত্রা কম থাকে।
এরই মধ্যে পানীয় হিসেবে গ্রিন টি'র উপকারিতা নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। দেখা গেছে, এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে 'গ্রিন টি' বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ব্যবহার রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিডি-প্রতিদিন/৩ আগস্ট ২০১৫/শরীফ