পর্ন মুভি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এর প্রসারে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তা বেড়েই যাচ্ছে। উন্নত দেশে যেনো এর বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পর্ন সিনেমা তৈরি হয় কানাডায়। গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি পর্ন মুভি তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়া ও নাইজেরিয়ায়। পৃথিবীর অন্তত পাঁচটি দেশে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি পর্নগ্রাফি দেখে। পর্ন না দেখা পুরুষ-পর্নগ্রাফি সম্পর্কে প্রভাব ফেলে কিনা এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। কেন না গবেষকরা এমন বেশি কিছু সংখ্যাক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের খোঁজ পাননি যারা কোনো দিন পর্ন মুভি দেখেননি। পর্ন মুভি না দেখা যথেষ্ট পুরুষের খোঁজে না পাওয়া প্রথম এই বিষয়ে গবেষণা বন্ধ হয়ে যায়।
১৩ বছর আগে গোটা দুনিয়ায় মোট ৭০ হাজারের মত পর্ন সাইট ছিল। আর এখন ২০১৫ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই পর্ন সাইটের সংখ্যা ৫০ লক্ষ। গোটা দুনিয়ায় এ সংখ্যা ২০ কোটির ওপর। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে এই মুহূ্র্তে প্রায় ৩ কোটি মানুষ পর্ন দেখছেন। প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি মানুষ পর্ন দেখেন বলে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে। প্রতি বছর পর্ন মুভিতে অবদানের জন্য মোটা অর্থের পুরস্কার মূল্যের ট্রফি দেওয়া হয়। পর্নের অস্কার হিসেবে পরিচিত এই অ্যাওয়ার্ডকে বলা হয় এভিএন অ্যাওয়ার্ড। বেশ কিছু পর্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বার্ষিক রোজগার অনেক হলিউড স্টারদের চেয়েও বেশি।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ আগস্ট ২০১৫/শরীফ