১৫ এপ্রিল, ২০২২ ০১:৩৭

বাঙালির বৈশাখ বরণ

মোস্তফা মতিহার

বাঙালির বৈশাখ বরণ

বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ -জয়ীতা রায়

পুরনো গ্লানি ও জরাজীর্ণতা মুছে সুন্দর, সফলতা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪২৯। বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের সকাল থেকে শুরু করে দিনব্যাপী ছিল বর্ষবরণের বর্ণিল আয়োজন। নাচে, গানে, কথায় ও কবিতায় আর শোভাযাত্রাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে পয়লা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। রমনা পার্ক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলা একাডেমি থেকে টিএসসি, চারুকলা থেকে শাহবাগ- সর্বত্রই ছিল বৈশাখপ্রেমীদের ঢল। বিপ্লবের লাল আর শান্তির শুভ্র রঙের পাশাপাশি বর্ণিল সব রঙেই সেজেছিলো আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙাতে এদিন ঘরের চারদেয়াল থেকে বেরিয়ে এসে সার্বজনীন উৎসবে মেতে উঠে গোটা বাঙালি।

ছায়ানট : অতিমারির কারণে দুই বছর পর ছায়ানট স্বরূপে ফিরে এসেছে বৈশাখ উদযাপনে। বৈশাখের প্রভাতে রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের স্বরূপ ও ঐতিহ্য মেলে ধরে। শ্রাবন্তী ধরের কণ্ঠে রাগ রামকেলী আলাপ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকাল ৬টা ১৫মিনিটে শুরু হয় ‘নব আনন্দে জাগো’ স্লোগানে ছায়ানটের বঙ্গাব্দ ১৪২৯ বরণের আয়োজন। এরপর ‘মন, জাগ মঙ্গললোকে’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ছায়ানটের বিশেষ দল। সেতারে রাগ আহীর ভৈরব আলাপ পরিবেশন করেন এবাদুল হক সৈকত, কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘অরুণকান্তি কে গো যোগী ভিখারি’ একক কণ্ঠে গেয়ে শোনান বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। এরপর কণ্ঠে রাগ টোড়ি আলাপ পরিবেশন করেন বিটু কুমার শীল, জাতীয় কবির ‘জাগো জাগো খোলো গো আঁখি’ গেয়ে শোনান সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, এস্রাজে রাগ রামকেলী আলাপ পরিবেশন করেন অসিত বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘এ কী সুগন্ধ হিল্লোল বহিল’ গেয়ে শোনান সত্যম‌ কুমার দেবনাথ। এরপর সেতারে ফিরোজ খান পরিবেশন করেন রাগ ভৈরবী-রামকেলী আলাপ। পরিবেশনার ধারাবাহিকতায় রবি ঠাকুরের ‘গাও বীণা, বীণা গাও রে’ গানটি পরিবেশন করেন লাইসা আহমদ লিসা। বাঁশিতে রাগ বৃন্দাবনী সারং আলাপ তুলে বৈশাখের সকালকে অনন্য করে তোলেন মর্তুজা কবির মুরাদ। জাতীয় কবির ‘আনো আনো অমৃত বারি’ গানটি কণ্ঠে তুলে মুগ্ধতা ছড়ান খায়রুল আনাম শাকিল। কণ্ঠে রাগ ভৈরবী আলাপ পরিবেশন করেন অভিজিৎ কুণ্ডু। নজরুলের ‘প্রভাত বীণা তব বাজে হে’ সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ছায়ানটের বিশেষ দল। কবির ‘জাগো অরুণ-ভৈরব জাগো হে’ একক কণ্ঠে গেয়ে শোনান মাকসুদুর রহমান খান মোহিত, বিশ্বকবির ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ গেয়ে শোনান অভয়া দত্ত, ‘কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে’ পরিবেশন করেন তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু। পরবর্তী পরিবেশনায় নজরুলের অমিয় বাণীর গান ‘অন্তরে তুমি আছ চিরদিন’ গেয়ে শোনান শাহীন সামাদ। সম্মেলক কণ্ঠে রবি ঠাকুরের ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল, কবির ‘ক্ষত যত ক্ষতি যত মিছে হতে মিছে’ একক কণ্ঠে গেয়ে শোনান তানিয়া মান্নান, ‘প্রাণে খুশির তুফান উঠেছে’ গেয়ে শোনান এ টি এম জাহাঙ্গীর, কবির প্রার্থনা সংগীত ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো’ সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে প্রতিষ্ঠানটির ছোটদের দল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ পাঠ করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘আজ সকালে সূর্য ওঠা সফল হল মম’ গানটি গীত হয় কানিজ হুসনার কণ্ঠে, বিদ্রোহী কবির ‘ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে’ সম্মেলকভাবে পরিবেশন করে ছায়ানটের ছোটদের দল। রজনীকান্ত সেনের ‘এত আলো বিশ্বমাঝে’ গেয়ে শোনান সুতপা সাহা, রবি ঠাকুরের ‘পারবি না কি যোগ দিতে’, সম্মেলকভাবে পরিবেশন করে বড়দের দল। অতুল প্রসাদ সেনের ‘আপন কাজে অচল হলে’ গেয়ে শোনান সেমন্তী মঞ্জুরী, নজরুলের ‘নবীন আশা জাগল যে রে আজ’ সম্মেলক কণ্ঠে গেয়ে শোনায় প্রতিষ্ঠানটির ছাটদের দল, সুমন মজুমদারের কণ্ঠে গীত হয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘আজি গাও মহাগীত’ গানটি, শারমিন সাথী ইসলামের কণ্ঠে গীত হয় অতুলপ্রসাদ সেনের ‘যদি তোর হৃদ-যমুনা’ গানটি, গুরু সদয় দত্ত রচিত ‘বাংলাভূমির প্রেমে আমার’ গানটি সম্মেলকভাবে পরিবেশন করে ছোট ও বড়দের দল। লালনের ‘মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার’ গীত হয় বিমান চন্দ্র বিশ্বাসের কণ্ঠে। নুরুল ইসলাম জাহিদের ‘আজ নয়া বছর নয়া মাস’ গেয়ে শোনান এরফান হোসেন, সম্মেলক কণ্ঠে ‘নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে’ গেয়ে শোনায় ছোট ও বড়দের দল। কথন পাঠ করেন ডালিয়া আহমেদ। রবি ঠাকুরের ‘বৈশাখ হে’ আবৃত্তি করেন মৌনী তাপস। কথনে অংশ নেন ডা. সারওয়ার আলী। রবীন্দ্রনাথের গান ‘নব আনন্দে জাগো (আংশিক)’ একক কণ্ঠে পরিবেশন করেন ছায়ানট সভাপতি সানজীদা খাতুন। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণের এবারের আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা : মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। করোনা মহামারি শেষে ফের স্বরূপে ফিরে এসেছে চারুকলা অনুষদ। ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ ছিল এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য। বৈশাখের সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রকেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বের হয় শোভাযাত্রাটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনের স্মৃতি চিরন্তন ঘুরে ফের টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। মেট্রোরেলের কাজ চলায় শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় এবার শোভাযাত্রার গতিপথে পরিবর্তন আনা হয়। সোয়াত, ডিবি, র‍্যাব ও পুলিশসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় ঘেরা ছিল শোভাযাত্রাটি। এছাড়াও সাদা পোশাকে ছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। রং বেরঙের মাছ, পাখি, ঘোড়া, টেপা পুতুল, ঢাকঢোল-বাঁশি নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় চারুকলার শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশে কাজ করেন এমন অনেক বিদেশিও বর্ণিল পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে খুন, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে জেগে ওঠার প্রত্যয়। অতীতের গ্লানি মুছে দিয়ে অনাগত সুদিনের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার তাড়না ছিল শোভাযাত্রার শিল্পকাঠামোয়। ঢাবি ভিসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাসের জায়গা পহেলা বৈশাখ। এটি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রাণের একটা উৎসব।

শিল্পকলা একাডেমি : বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় সকাল ৮টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘এসো হে বৈশাখ, আজ জীবন খুঁজে পাবি’ শিরোনামের দু’টি গান। এরপর শিশু সংগীত দল সম্মেলকভাবে পরিবেশন করে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের’, সরকারি সংগীত কলেজের শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘আজি নতুন রতনে, ভূষণে যতনে, ওই বুঝি কালবৈশাখী সন্ধ্যা আকাশ’, বাউল দল পরিবেশন করে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এবং ভাওয়াইয়া দলের শিল্পীরা সমবেতভাবে গেয়ে শোনায় ‘বার মাসে তের ফুল ফুটে’ ও যে জন প্রেমের ভাব জানে না’। ‘আমরা সুন্দরের অতন্ত্র প্রহরী’ গানের সাথে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমির শিশু নৃত্যদল। ‘নতুন দিনে নতুন আলো রাঙ্গা নতুন সাজ, নাগর দোলায় দুলছে যেন সবারই মন আজ, গান দু’টির সাথে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে বাফার শিল্পীরা, ‘বছর ঘুরে এলো আবার ফিরে নতুন বৈশাখ’ গানের সাথে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে নাচের দল নৃত্য নন্দন। ‘বারো মাসে তের পার্বণ’ গানের সাথে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দনের শিল্পীরা, ‘জাগো জাগো জাগো জাগোরে রঙ্গে’ গানের সাথে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল। এতে আবৃত্তি করেন গোলাম সারোয়ার, জয়ন্ত চট্রোপাধ্যায় এবং বর্ণা সরকার। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুরোবালা, সমির বাউল, কাজল দেওয়ান এবং বাবলী দেওয়ান।

বাংলা একাডেমি : আলোচনা, গান, কবিতা ও মেলাসহ নানা আয়োজনে বৈশাখ বরণ করেছে বাংলা একাডেমি। সকাল ৮টায় একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় নববর্ষ বরণের এই আয়োজন। অনুষ্ঠানমালায় ছিল বর্ষবরণ-সংগীত, নববর্ষ বক্তৃতা, কবিতাপাঠ এবং আবৃত্তি। ‘সংগীত ভবন’ এর শিল্পীদের পরিবেশনায় বর্ষবরণ-সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপার স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে ‘বাংলা ঋতু ও মাসের নাম-বিচার : লোকশ্রুতি ও আভিধানিক সূত্র শীর্ষক ‘নববর্ষ বক্তৃতা ১৪২৯’ প্রদান করেন ড. সাইমন জাকারিয়া। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি আসাদ মান্নান, আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা একাডেমির প্রয়াত সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অন্যদিকে, ভাষা শহিদ মুক্তমঞ্চে লোককবিতা এবং লোকসংগীতের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের উদ্যোগে একাডেমি প্রাঙ্গণের ভাষাশহিদ মুক্তমঞ্চের এই আয়োজনে ভাটকবিতা পরিবেশন করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বাউল রশিদ, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বাউল আবদুর রহমান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বাউল আলেয়া ও আবুল বাসার তালুকদার এবং কবিগান পরিবেশন করেন দিনাজপুরের চিলমারির সাইটারার কবিয়াল যশোদা রানী।

বিসিক ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশাখী মেলা ১৪২৯’ : বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর যৌথ উদ্যোগে শুরু হলো ‘বৈশাখী মেলা ১৪২৯’। বৈশাখের সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান।

আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ‘বৈশাখের সেতুবন্ধনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠুক বাংলাদেশ’ স্লোগানের মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। পয়লা বৈশাখের সকালে রাজধানীর বাহাদুর শাহ্ধ পার্ক থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। শোভাযাত্রা পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া প্রমুখ। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত ও লোকজসংগীতের মাধ্যমে বাঙালির লোকজ ঐতিহ্যকে স্মরণ করেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা বর্ণিল আয়োজনে বরণ করে বৈশাখকে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর