৮ জুলাই, ২০২২ ১৪:১০

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নেত্রকোনার দুর্গাপুর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নেত্রকোনার দুর্গাপুর

প্রাকৃতিক নানা খনিজ সম্পদে ভরপুর নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বেরিয়ে আসা স্রোতস্বিনী পাহাড়ি কন্যা সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ স্রোত ধারায় গা ভাসাতে প্রতিবছর দূর-দুরান্তের থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। এখানকার সাদা মাটির পাহাড় যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার।

সারা বছরই পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে থমকে গেছে এখানকার পর্যটন শিল্প। ফলে অর্থনৈতিকভাবে লোকসানের মুখে এখানকার কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী। তবে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আবারও আশার আলো দেখছেন তারা।

ইতিমধ্যে পর্যটন স্পটগুলোর আশপাশে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ধুয়ে মুছে পরিষ্কারসহ নতুন মালামাল দিয়ে পরিপূর্ণ করছেন। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুতি শেষ করেছেন এখানকার পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচার একাডেমি, ওয়াইএমসিএ, ওয়াইডব্লিউসিএ, নদী বাংলা রেস্ট হাউসসহ প্রতিটি হোটেলে এখন মোবাইল ফোনে চলছে শেষ সময়ের বুকিং ও পর্যটকদের খোঁজখবর নেয়া। দূর-দুরান্তের পর্যটকরা আগেভাগেই থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দিয়ে রাখছেন বুকিং।

এদিকে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামে চিনামাটির পাহাড়ে প্রবেশের একমাত্র সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় বেহাল এ সড়কের অবস্থা। পুরো সড়কটি খোঁড়াখড়ি করে রাখায় মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচলেরও সুযোগ নেই। ফলে ঈদ মৌসুমে পর্যটক আগমন হলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত এ সড়কে বালু ফেলে সাময়িক মেরামতের জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পুরো ৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চিনামাটির পাহাড়। এছাড়াও সোমেশ্বরী নদীর নানা প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদসহ নানান দর্শনীয় স্থান রয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের সার্বিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কুল্লাগড়া সাদা মাটির পাহাড়ের কাছে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তাছাড়াও করোনা সচেতনতায় মাস্ক বিতরণসহ মাইকিং কার্যক্রম থাকবে। এছাড়াও একটি সড়কে বালু ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে আমরা বালুর ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। নির্বিঘ্নে যাতে পর্যটকরা চলাচল করতে পারেন। তবে আইনশৃঙ্খলা এবং পরিবেশ ভালো রাখতে পর্যটকদেরও কিছু দায় দায়িত্ব রয়েছে। তারাও যেন বেড়াতে এসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখেন সেই অনুরোধ থাকবে। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর