বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৩৫ তম দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের কাজী আসমা আজমেরী। ১৩৫তম দেশ হিসেবে তিনি ভ্রমণ করেছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। ১৩ই অক্টোবর ভোর রাতে তিনি উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
২০০৯ সাল থেকে বিশ্ব ভ্রমণের শুরু কাজী আসমার। বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভ্রমণের ঝামেলা অনেক। ইমিগ্রেশনে মাঝে মধ্যে হয়রানির শিকার হতে হয়। তারপরও ক্লান্তি আসেনি আসমার। ১৩৫ টি দেশ এবং ১৪০০ শহর-গ্রাম ভ্রমণ করে হাজার হাজার গল্প জমা হয়েছে তারা ঝুলিতে। সুযোগ পেলেই তা অন্যদের শোনান। যাতে তারাও স্বপ্নবাজ হয়ে উঠেন। পৃথিবীর সবগুলো দেশ ঘুরে দেখতে চান আসমা।
চাকরি করে টাকা জমিয়ে সেই টাকা দিয়েই বিশ্বভ্রমণ শুরু করেন আসমা। ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনার ট্রেন স্টেশন থেকে কলকাতা যান আসমা। ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে মুম্বাই থেকে ১৩১তম দেশ ভ্রমণের অংশ হিসেবে মরিশাসের উদ্দেশে রওনা হন। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মরিশাস অবস্থান করেন। তানজানিয়ার দারুস সালামে যান ২৪ সেপ্টেম্বর। টানা ১৪ দিন তানজানিয়ার নীলসমুদ্র, ঐতিহ্যবাহী স্টোনটাউন ও ক্লেমেন্টজারু ভ্রমণ করেন। পরে সড়ক পথে ৮ অক্টোবর কেনিয়া পৌঁছান। নাইরোবি শহরে দুই দিন ছিলেন আসমা। এই ভ্রমণে বাসে করে মাসাই মারা গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। কেনিয়াতে রোটারি ক্লাব, স্কুল-কলেজে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেছেন। এরপর উগান্ডার উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে মরিশাসের দুটি স্কুল এবং কলেজ, তানজানিয়ার দুটি স্কুল ও উগান্ডার কাম্পালা শহরের একটি স্কুলে নিজের ভ্রমণের গল্প বলেছেন কাজী আসমা আজমেরী। সেখানকার ছেলেমেয়েদের স্বপ্নবাজ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। আসমা স্বপ্ন দেখেন, পৃথিবীর সমস্ত তরুণ সম্প্রদায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগাবে নিজ নিজ সমাজে। একজন নারী হয়ে তিনি যদি পারেন তাহলে কেন তরুণ প্রজন্ম পারবে না- এই উৎসাহ দিয়েই অনুপ্রাণিত করেন কাজী আসমা আজমেরী।