‘উনি তো আশ্রমের সেবক ছিলেন। ইসলামবিরোধী কোনো কার্যকলাপ করেননি। শুধু নিজের ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতেন। তার পরও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত।’ পাবনার হেমায়েতপুরে অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবককে কুপিয়ে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন, খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি এই আশ্রমের ভক্ত। গতকাল ভোরে হেমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্য রঞ্জন পাণ্ডেকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নিত্য রঞ্জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আমাকে দারুণভাবে মর্মাহত করেছে। কোনো হত্যাই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে অপরাধের শাস্তি।’ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারকে আরও গভীরভাবে দেখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শীর্ষেন্দু বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার, সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হত্যা বেড়েই চলেছে। এগুলো ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড। সরকারকে এসব দমনে জোরেশোরে নামতে হবে। আমি নিজে এই আশ্রমের ভক্ত। তাই কষ্টটা একটু বেশিই পাচ্ছি।’