নতুন ভ্যাট আইন-২০১২ বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল, তার অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, আইনগত কারণে আমরা ভ্যাট আইনের সব তথ্য প্রকাশ করব না, করতে পারব না। সেটা বোঝানোর পর ব্যবসায়ীরা (আইন) ন্ডেন্ডেমনে নিয়েছেন। তাই ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে এখন আর এনবিআরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কোনো দূরত্ব নেই। গতকাল এনইসিতে অর্থমন্ত্রীর নিজ দফতরে এনবিআর ও এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক  বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

উন্নয়নে আমরা অর্থমন্ত্রীর পাশে আছি। তিনি আমাদের বলেছেন  কোনো পণ্যে ট্যাক্স বাড়বে না। তবে ট্যাক্সের আওতা আরও বাড়বে। ভ্যাটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ুক এটা অর্থমন্ত্রী চান না। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, এফবিসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনযোগ্য। এটি বাস্তবায়নের পরও যদি কোথাও কোনো সীমাবদ্ধতা দেখা দেয় তাহলে তা জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব করতে পরিবর্তন করা হবে। ভ্যাট আইন স্বচ্ছতার সঙ্গে ঝামেলাহীনভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এ আইন আমরা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করব। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো পণ্যে ভ্যাট বাড়বে না বরং কমবে। তবে ভ্যাটের আওতা বাড়াব। সবকিছুই সুন্দর মতো করব। ভ্যাট দিতে কেউ কষ্ট পাবে না, সবকিছুই করব উইন উইন সিচুয়েশনে। কোন পণ্যে কী হারে ভ্যাট হবে এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাজেট পাসের আগে আমরা এই তথ্য প্রকাশে অপারগ। বাজেট পাস হওয়ার পর  কোনো বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থাকলে তা পরবর্তী পর্যায়ে পরিবর্তন করা হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে তা পরবর্তীতে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাট আইনটি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের কথা জানিয়ে বলেন, দেশটা আমাদের সবার। দেশের জন্যই সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব।