বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো কাজে লাগাতে ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। গত বৃহস্পতিবার তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমোনের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্র : বাসস। ‘কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় রাত ১০টায় দুশানবেতে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। পরে প্রেসিডেন্ট রাহমোনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিআইসিএ সম্মেলন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতি তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তান একসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেই তার বিশ্বাস। বাংলাদেশে বিশ্বমানের তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনের কথা তুলে ধরে এসব পণ্য আমদানির জন্য তাজিকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ। প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়াতে দুই দেশে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমোন বৈঠকে জানান, টেকসই উন্নয়নের জন্য তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রেস সচিব আরও জানান, সাক্ষাতের সময় আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাজিকিস্তানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ইমোমালি রাহমোন এ ব্যাপারে তার দেশের সমর্থনের আশ্বাস দেন। অন্যদের মধ্যে তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরোজিদিন মুহরিদিন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএ মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) কামরুল আহসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সিআইসিএ সম্মেলন শেষ করে ১৬ জুন উজবেকিস্তান যাবেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে ১৯ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
