গৃহপরিচারিকাকে নিতে এসে রংপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে অপহৃত ঢাকার হাজারীবাগের মোশাররফ হোসেন পপির লাশ সাত দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। বদরগঞ্জের শ্যামপুরে নন্দনপুরের একটি চাষ করা জমির গর্ত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল ভোরে প্রধান আসামি রবিউলের দেখানো ওই স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১১ জানুয়ারি পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল হোসেনের কাছে আসেন ঢাকার হাজারীবাগের ব্যবসায়ী পপি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রবিউল তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যান বদরগঞ্জের শ্যামপুরে তার দুলাভাইয়ের বাসায়। সেখানেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর তাকে হত্যা করেন রবিউল ও তার লোকজন। পরে লাশ বস্তাবন্দী করে নন্দনপুরের একটি চাষ করা জমিতে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। এ ঘটনায় পপির ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করলে রহস্য উন্মোচিত হয়। পুলিশ গ্রেফতার করে কনস্টেবল রবিউল হোসেন, তার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম ও পপির বাড়ির কাজের ছেলে বিপুলকে। পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেন আসামিরা। শনিবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিউলের দেখানো সেই জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় পপির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও।