বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চেহারা পরিবর্তন করেও রক্ষা হয়নি তানিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুবাই থেকে ডেবিট কার্ড চুরি করে পাঠানো হয় বাংলাদেশে। পরে তা থেকে ১৩ লাখ টাকা তোলা হয়। বুথের ফুটেজ ভাইরাল হতেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়। টাকা উত্তোলনকারী অন্যতম অভিযুক্ত তানিয়া আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে    চেহারা পরিবর্তন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কার্ডের মালিক দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম। সাইফুলের কার্ডটি চুরি করেন তারই গাড়িচালক মামুন। চুরির পর তা দেন দুবাইয়ে আরেক বাংলাদেশি ও তার বন্ধু রাজুকে। রাজু কার্ডটি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠান বাংলাদেশে স্ত্রী তানিয়ার কাছে। কার্ডের গোপন নম্বর আসে হোয়াটসঅ্যাপে। তা দিয়ে তোলা হয় টাকা। যা আবার যায় দুবাইতে। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার একটি বাসা থেকে তানিয়াকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। রাজু দেশের বাইরে থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মীর মোদাচ্ছের হোসেন জানান, কোন কোন তারিখে টাকা তোলা হয়েছে, তার (টাকা উত্তোলনকারী) মোবাইলফোন ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি যা ব্যবহার করা হয়েছে এগুলোর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন তানিয়ার সঙ্গে কারা কথা বলেছিল। সেই ক্লু ধরে তারা প্রথমে গ্রেফতার করেন অভিযুক্ত মামুনকে। গত ২৪ জানুয়ারি মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১৫ জানুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসেন। আদালত সূত্র জানায়, তানিয়া ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, মামুন কার্ডটি রাজুকে দেন। তিনি রাজুর কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পান। গত বছরের ৯ নভেম্বর রমনা থানায় টাকা চুরির অভিযোগ করেন সাইফুল ইসলাম।

সেখানে বলা হয়, সাউথইস্ট ব্যাংকে তার হিসাবে থাকা ১৩ লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। তার এটিএম কার্ডটিও পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কার্ডেই তিনি পিন কোড লিখে রেখেছিলেন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৮ আগস্টের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজধানীতে ওই ব্যাংকের ৬টি বুথ থেকে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা তুলেছেন এক নারী। ছয়টি বুথের সিসি ক্যামেরার ভিডিও যাচাই করে এটি নিশ্চিত হয় তারা। গত বছর মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসার পর কিছুদিন থেকে আবার দুবাই চলে যান সাইফুল। নভেম্বর মাসে ফের ঢাকায় এসে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। ওই ব্যাংকের ডেবিট কার্ডও আর তিনি খুঁজে পাননি। সাইফুলের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কার্ড রয়েছে। গত বছর মাঝামাঝি যখন ঢাকায় আসেন তখন তার সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন না হওয়ায় কার্ডের ব্যাপারে খুব নজর ছিল না। তবে ভিডিও ফুটেজে পাওয়া নারীর ছবি দেখানো হলে সাইফুল তাকে চেনেন না বলে গোয়েন্দা পুলিশকে জানান।

সর্বশেষ খবর