অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক পেলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময়ে বগুড়া-১ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ও যশোর-৬ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কাইপিতে যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান ছিলেন। মনোনয়ন বোর্ডে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র পদে ৬ জন, যশোর-৬ আসনে ৫ জন এবং বগুড়া-১ আসনে ৯ জন প্রার্থী সাক্ষাৎকার দেন। চট্টগ্রাম সিটি  নির্বাচনে  মেয়র পদে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৬ জন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অন্যরা হলেন নগর সাধারণ সম্পাদক আবু হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি সৈয়দ আজম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক কমিশনার নিয়াজ মুহাম্মদ খান ও মহিলা নেত্রী লুসি খান। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। পার্লামেন্টারি বোর্ড বগুড়া-১ আসনে এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির এবং যশোর-৬ আসনে আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিন মনোনীত প্রার্থীই তাদের দলের কারাবন্দী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে ভোটে সেনা  মোতায়েনের দাবিও জানান।

বগুড়া-১ আসনের এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি দুই দফায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। যশোর-৬ আসনে আবুল হোসেন আজাদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। একাদশ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।