করোনা মহামারীর ভয়াবহতা বিবেচনায় না এনে সবকিছু খুলে দিয়ে সরকার কানে তুলো দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, সদস্য মেহেদি হাসান পলাশ, অধ্যাপক শামসুর রহমান শামস উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কাল থেকে দেখছি, যে ট্রেন চলছে এবং ট্রেনগুলোতে গাদাগাদি করে মানুষ আসছে। এর মধ্যে আপনারা দেখেছেন যে, রীতিমতো মারামারি হচ্ছে বাসে ওঠার জন্য, জায়গা পাওয়ার জন্য। এটা সম্ভব নয় বাংলাদেশে এভাবে গণ-পরিবহনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? যেখানে আপনি অফিস খুলে দিয়েছেন, অফিস খুললে তো লোকজন আসবেই। লঞ্চেও একই অবস্থা হয়েছে। এখন সরকারের অবস্থা হচ্ছে যে- ‘কানে দিয়েছি তুলো’। যা খুশি বলেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা তো আছি। ফখরুল বলেন, বার বার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের (সরকার) নিয়োজিত যে টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি রয়েছে তারাও বলছেন যে, এটা (সব কিছু খুলে দেওয়া) একটা সুইসাইডাল। এটা করলে একটা ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হবে। তারা সেই কথা শুনেননি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক যিনি আছেন আবদুল্লাহ (অধ্যাপক এম আবদুল্লাহ) সাহেব, তাকে এডভাইজার হিসেবে নেওয়া হয়েছে তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন যে, এটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে, সংক্রমণ আরও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। আমরা মনে করি, এটা আরও সময় নিতে পারত। ভারতে দেখেন, তারা সব রাজ্যের চিফ মিনিস্টার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কথা বলে আরও এক মাস লকডাউন বাড়িয়েছে। যে কথাটা আমি বার বার বলেছি, দায়িত্বশীলতা নেই বলেই সরকার এভাবে তুঘলকি কারবার করছে যেটা জনগণকে পুরোপুরিভাবে মহাবিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
