বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
সাভারে স্কুলছাত্রী হত্যা

নীলাকে রিকশা থেকে নামিয়ে মাদক স্পটে নিয়ে ছুরি মারে মিজান

সাভার প্রতিনিধি

সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মিজানুর রহমান, তার বাবা ও মায়ের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে গত রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও এখনো অভিযুক্ত মিজানুরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল দুপুরে সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

বছরখানেক ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কাজিমুকমাপাড়ার পাশের এলাকা ব্যাংক  কলোনির আবদুর রহমানের ছেলে কলেজছাত্র মিজান। নীলা রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার ভাই অলক রায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাসা থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর মিজান রিকশার গতি রোধ করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে নীলাকে টেনে-হিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে মাদক স্পটে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মিজান। মামলায় নীলা রায়কে ছুরিকাঘাত করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বখাটে মিজানুর, তার বাবা আবদুর রহমান, মা নাজমুন নাহার সিদ্দিকার নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। নীলার মা মুক্তি রায় বলেন, ‘আমার মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হতে দিল না মিজান। মিজানের মা-বাবাকে বলার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো মিজানের মা নীলাকে মিজানের সঙ্গে কথা বলতে ও ফেসবুকে চ্যাট করার পরামর্শ দিতেন। এ অবস্থায় মিজানের অত্যাচারে বছরখানেক আগে আমরা সাভারের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বালির টেকে চলে গিয়েছিলাম। ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার জন্য কয়েক মাস পর আবার সাভার চলে আসি। কিন্তু মিজান আমার মেয়ের পিছু ছাড়েনি। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নীলাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মিজান।’ জাগ্রত বিবেক ফাউন্ডেশন (জাবিফ) সভাপতি মণি মুক্তা ইসলাম বলেন, এখানে আগে একটি খুন হয়েছে। এবার আরেকটি হলো। মাদকের ছড়াছড়িতে সাভার হয়ে উঠেছে অপরাধীদের অভয়ারণ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর