কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমছে অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাড়ছে, এই বিপুল পরিমাণ মানুষের খাদ্য চাহিদা জোগান দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ধানের অনেক নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী গতকাল জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চিনিয়াতলা এলাকায় ব্রি-৮১ জাতের ধান কাটা ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল আফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ফেরদৌসী ইসলাম জেসীসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। মন্ত্রী বলেন, আগে বরেন্দ্র অঞ্চলে একবার ধান হতো। এখন কয়েকবার ধানের আবাদ হচ্ছে, আগের চেয়ে উন্নত জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের গবেষকরা ব্রি-৮১, ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৬ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আরেকটি নতুন জাতের ধান ব্রি-১০০ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রি- ৮১ জাতের ধান চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বিঘা জমিতে ৩১ মণ ফলন হয়েছে, এরচেয়ে বেশি কি হতে পারে। এই ধান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আগে কৃষকরা ২৮ ধান উৎপাদন করত, এখন ব্রি-৮১ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতটি চাষের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। জেলার আম রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুস্বাদু আম রপ্তানির মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষকে খাওয়ানো হবে। হেফাজত ইসলাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজাকার-আলবদরদের মতো বাংলার মটি থেকে হেফাজতের মূল উৎপাটন করা হবে। বাংলাদেশ কোনোদিন তালেবান-আল কায়েদার দেশ হবে না।
