বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলবোর্ড, ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের ধরে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসভবনের সামনে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এতে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় থেকে ইউএনওর বাসার আনসার সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মাস্টাররোলের কর্মী আতিক উল্লাহ মুনিম জানান, ইউএনওর বাসার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা প্রথমে গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলাম খোকন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, শ্রমিক লীগ কর্মী আলম রয়েছেন। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর ইউএনওর নিরাপত্তায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউএনও মুনিবুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের আশপাশে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার- পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবার সকালে এগুলো ছিঁড়তে বলেন। এরপর তারা তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলাকারীরা দুই দফায় হামলা চালায় বলে জানান ইউএনও মুনিবুর রহমান।
রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলাকারীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান করে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ সময় বর্জ্য ফেলে এবং ট্রাক আড়াআড়ি করে মহাসড়ক বন্ধ রাখে হামলাকারীরা। ইউএনওর বাসভবনের সামনে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক চলছে। এ ছাড়া হামলকারীরা ইউএনওর বাসভবনের ১ কিলোমিটার চৌমাথা এবং সিঅ্যান্ডবি পোল প্রান্তে অবস্থান করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গুলিবিদ্ধ এবং অন্য আহতরা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
