বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নদীতে জাল ফেলে উদ্ধার হ্যান্ডকাফ পরা যুবকের লাশ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে সুজন সাহা নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় হাঁড়িদোয়া নদী থেকে জাল ফেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সদর থানার দারোগাসহ দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে শহরের হাজিপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন সাহা (২২) হাজিপুর দাসপাড়া এলাকার অজিত সাহার ছেলে। তিনি শেকেরচরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।

এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। হাসপাতালের মর্গের সামনে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ।

নিহতের স্বজনদের দাবি, গ্রেফতারের পর পুলিশ সুজনকে বেদম প্রহার করে। এতে তার মৃত্যু হলে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় তাকে নদীতে ফেলে দেয়। তবে পুলিশ বলছে, নিহত সুজনকে গ্রেফতারের পর থানায় নেওয়ার সময় পথে তিনি হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা করে পালিয়ে যেতে নদীতে ঝাঁপ দেন। নিহতের বাবা আজিত সাহা জানান, সোমবার রাতে পুলিশ সুজনকে খুঁজতে তার বাসায় যায়। তখন গেট খুলতে না চাইলে পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। পরে সকালে ব্রাহ্মন্দী থেকে তাকে ধরে হাজীপুর বাবুলের চানাচুর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসে। সেখানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যার পর তাকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে হাজীপুরের হাঁড়িদোয়া নদীতে জাল ফেলে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুজনের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। সেই ওয়ারেন্ট তামিল করতে হাজীপুরের চানাচুর ফ্যাক্টরি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে থানায় নেওয়ার পথে তিনি অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। ওই সময় তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, সুজন একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারিসহ ১০টি মামলা রয়েছে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থানায় নেওয়ার সময় সুজন পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। তখন তিনি নদীতে তলিয়ে যান। সেখানে কোনো কিছুতে আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পালাতে গিয়ে সুজন পুলিশের ওপর হামলা করেন। তখন সদর মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল মাইনুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তারা আহত হন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর