দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে আমরা এ সভা থেকে তার তীব্র বিরোধিতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, রফিকুল আলমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যরা। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের শোষণ করছে। জনগণের পকেটের টাকা নিয়ে বড় বড় প্রজেক্ট করে বিদেশে পাচার করছে। গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারি তাহলে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না। খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার প্রমাণ, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগ দেখল, দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তাদের কোনো পাত্তাই থাকবে না। এ জন্য তারা প্রশাসনকে দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। এটি বাংলাদেশের সবাই জানে। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রশূন্য করে ফেলেছে। তিনি বলেন, এ সরকার আমাদের মিটিং-মিছিলে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। সীমিতভাবে মিটিং করতে বাধ্য করছে। যাতে এগুলো জনগণের সামনে প্রকাশিত না হয়। সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। কিন্তু সরকারের এ অরাজকতা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র নেই তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারা বিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এটি গৌরবের বিষয় নয়। জাতিগতভাবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। তিনি আরও বলেন, যেদেশে গণতন্ত্র নেই, সেদেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আমরা গুমের হিসাব দিয়েছি। বিচারবহির্ভূত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মামলা, ৩৬ লাখের মতো আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে, তারা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা পার পায়নি।