বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাদের চরম হেনস্তা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার-রিমান্ড-নির্যাতনসহ তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাপক হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বিএনপিসহ বিরোধী দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি বন্ধের জোর আহ্বান জানান। গতকাল দলের সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লা আমান, জহিরউদ্দিন স্বপন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাসেম বকর ও পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল ও অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীর বাসায় পুলিশি তল্লাশি ও হয়রানি করা হয়েছে। দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন ও তাদের বাসায় তল্লাশির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ফখরুল বলেন, সার্বিক অর্থে দেশে এখন এক চরম ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার মনে করছে, এভাবে জনগণ এবং বিএনপিসহ বিরোধী মতের মানুষের ওপর কঠোরতা বজায় রাখলে তাদের অবৈধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে কেউ ‘টু’ শব্দটিও উচ্চারণ করার সাহস পাবে না। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, অন্যায়-অবিচার চালিয়ে জনগণের শক্তির কাছে কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। তবে সংঘাত, নির্যাতন-নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের পথ পরিহার করে জনগণের দাবি মেনে নেওয়াই উৎকৃষ্ট পন্থা। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নৃশংসভাবে হত্যা ও আহত করার পাশাপাশি আওয়ামী সরকার দেশ পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এটাকে আড়াল করতে ফ্যাসিবাদী পথ অবলম্বন করে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে জনগণকে চরম বিপর্যয় ও দুর্ভোগের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে সরকার। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়সহ অনেক নেতা-কর্মীর বাসায় পুলিশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
হেনস্তা করা হচ্ছে নেতাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর