শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুজোর সাজ-মেকআপ

দেবী অর্চনা, শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের বাজনার সঙ্গে পূজার উলুধ্বনি। ষষ্ঠী থেকে দশমী, দুর্গাপূজার এই মহালয়ে সাজ-পোশাকের প্রয়োজনীয়তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

পুজোর সাজ-মেকআপ

ছবি : শোভন মেকওভার

ষষ্ঠী থেকে দশমী; ভিন্ন ভিন্ন সাজপোশাকে নিজেকে সাজাতে হবে। মহালয়া দিয়ে পূজা পর্ব শুরু হলেও মূল আয়োজন আসে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে। এই দুই দিন শুধু দিনের বেলা নয় রাতেও থাকতে হবে হালকা সাজ। তাই খুব জমকালো পোশাক না পরে সাদা বা যে  কোনো হালকা রঙের পোশাকের সঙ্গে বেছে নিন হালকা সাজ। ফাউন্ডেশন, ফেসপাউডার, ব্লাশন, আইশ্যাডো, আইলাইনার কাজল ও লিপস্টিক সব কিছুর ছোঁয়া থাকবে। যেহেতু গরম এখনো বিদ্যমান। তাই মেকআপ হতে হবে ওয়াটার প্রুফ। একই সঙ্গে ত্বক সানবার্ন মুক্ত রাখতে অবশ্যই সান প্রোটেকটেড ফিল্টার সমৃদ্ধ মেকআপ নির্বাচন করা প্রয়োজন।

 

অষ্টমী ও নবমীর সাজ অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু ভারি হবে এটাই স্বাভাবিক। সকালবেলা থেকে শুরু হয় মন্দিরে অঞ্জলি, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো। সকালে পরতে পারেন সুতি, জামদানি শাড়ি বা তসরের শাড়ি। আর নবমীর দিনকে সামনে থেকে মেয়েরা শাড়ি পরার ঢং বদলাতে পারেন। চাইলে এক প্যাঁচে বা কুঁচি দিয়ে করতে পারেন পছন্দের যে কোনো শাড়ি। নবমীর দিন একটু ভারি ডিজাইনের মসলিন সিল্ক, কাতান ধাঁচের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এ সময় সাজাটা একটু গাঢ় হতেই পারে। প্রথমে মুখ ক্লিন করে টোনিং করে নিন। ওয়াটার বেজড ফাউন্ডেশন ভালোভাবে মুখে গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এর ওপর কমপ্যাক্টের প্রলেপ বুলিয়ে নিতে পারেন। ড্রেসের কালারের সঙ্গে মিলিয়ে বা কন্টাস্ট্র করে চোখের পুরো পাতায় শ্যাডো লাগাতে পারেন। চোখের নিচের পাতায় কাজল দিয়ে রেখা টানুন। চোখের ওপরের পাতায় পেনসিল আইলাইনার দিয়ে মোটা করে লাইন টেনে নিন। এরপর ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে নিন। এরপর ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে নিন স্ল­াইড রেডিশ বা ব্রাউনিশ ব্লাশন লাগিয়ে নিন। লিপ পেনসিল দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক পরুন। চোখের মেকআপ যদি খুব গাঢ় করে থাকেন সেক্ষেত্রে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক মানানসই হবে। হেয়ার স্টাইলে বড় চুলে খোঁপা করে ফুল গুঁজে নিতে পারেন বা বেলী ফুলের মালা জড়িয়ে নিতে পারেন খোঁপায়।

 

পূজার শেষ আকর্ষণ দশমীর সাজসজ্জায় হবে অনেকটা ব্যতিক্রম। তাই ত্বকের কেয়ারটাও নিতে হবে ভিন্নভাবে। প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন ভালোভাবে। এরপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে সাকুলার মুভমেন্টে ঘুরিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে ভেজা তুলো দিয়ে মুছে ক্লিনজার তুলে নিন। অল্প একটু  ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে হালকা হাতে আপওয়ার্ড এবং আউট ওয়ার্ড মুভমেন্টে ঘুরিয়ে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে নিন, তবে ম্যাসাজ করবেন না। এবার আসি মূল সাজে। দশমীর পোশাকের ক্ষেত্রে শাড়ি বেছে নেওয়া ভালো। পোশাকের রঙে প্রাধান্য পেতে পারে সাদা, লাল, মেরুন, কমলা পাড়ের শাড়ি বা ঐতিহ্যবাহী গড়দের শাড়ি। মেকআপের ক্ষেত্রে অনেকেই দেবীর সাজ পছন্দ করেন। একটু ভারি মেকআপ দশমীর দিনের আদর্শ।

 

লিখেছেন- শারমিন সেলিম তুলি (রূপবিশেষজ্ঞ)

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর