বিশ্বে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বদঅভ্যাস বা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়।
অনেকেই জানেন, ধূমপান করলে ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এটা খুব ধীর গতিতে হয়। এ কারণে বেশিরভাগ ধূমপায়ী বুঝতেই পারেন না ধূমপানের অভ্যাস তাকে কীভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ধূমপান ছাড়াও আরও কিছু কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারে হতে পারে। যেমন-১. ধূমপান না করেও অনেক সময় পরোক্ষ ধূমপানের কারণে একজন ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন ও ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন, তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. যাদের পরিবারে ক্যান্সার রোগী রয়েছেন বা ছিলেন তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সার কিংবা অন্য যেকোনো ক্যান্সার হতে পারে। তাই যদি পারিবারিক ইতিহাসে কারও ক্যান্সার আক্রান্ত কেউ থেকে থাকেন, তাহলে অবহেলা না করে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত।
যারা ক্ষতিকর ধোঁয়ার আশপাশে দিনের অনেকটা সময় কাটান তাদেরও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে পরিবেশ দূষণ অনেক বেড়ে যাওয়ার ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাস্তাঘাটে গাড়ির ধোঁয়ার মধ্যে চলাফেরা করেন, তাদের ক্ষেত্রেই বেশি। বায়ুদূষণে হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত মাস্ক কিংবা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে।