বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডলার বিক্রির বদলে বাজার থেকে পাঁচ দফায় মোট ৬৩ কোটি ডলার কিনেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাজারে ডলারের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি। এ কারণেই গত মাস থেকে আমরা ডলার কেনা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ৬৩ কোটি ডলার কেনা হয়েছে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ নিলাম কমিটি ‘মাল্টিপল প্রাইস অকশন’ পদ্ধতিতে গত রবিবার ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। এর মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৪৭ পয়সায় এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সায়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ১৩ জুলাই প্রথম দফায় ১৮টি ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় একই দরে কেনা হয় ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তৃতীয় দফায় ২৩ জুলাই ১ কোটি ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৯৫ পয়সায়। গত বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফায় কেনা হয় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যার দাম ছিল ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলারের দর অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না। দর অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া যেমন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, তেমনি কমে যাওয়া নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে এবং বৈদেশিক বকেয়া দায় শোধ করা হয়েছে।