অর্ধশতক পর মিয়ানমারের প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত থিন কিয়াও।
বুধবার রাজধানী নাইপিডোতে এক ঐতিহাসিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি এ শপথ নেন। থিন কিয়াও দেশটির শীর্ষ পদে থিন সিয়েনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
চলতি মাসের প্রথমদিকে মায়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৬৯ বছর বয়সী থিন কিয়াওয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। উচ্চকক্ষ ও সেনাব্লক থেকেও একটি করে নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে ভোটাভুটি হয় পার্লামেন্টে। এতে ৬৫২ ভোটের মধ্যে ৩৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন থিন কিয়াও। আর এর মাধ্যমে অর্ধশত বছর পর মায়ানমার একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেল।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া বাকি দুই প্রার্থী হলেন, এনএলডি নেতা হেনরি ভ্যান থিও ও সেনাব্লক সমর্থিত মাইন্ত সুই। তারা মায়ানমারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক জান্তা আমলে তৈরি সাংবিধানিক বাধার কারণে স্বামী, সন্তান বিদেশি নাগরিক হওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হতে পারেননি নোবেল বিজয়ী সু চি। এ কারণে সিু চির স্কুল জীবনের বন্ধু এবং তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী থিন কিয়াওকেই প্রেসিডেন্ট পদে মনোয়ন দেয় এনএলডি। গত ১৫ মার্চ পাল্টামেন্টের ভোগাভুটিতে তিনি নির্বাচিত হন।
১৯৪৬ সালে জন্ম নেওয়া থিন কিয়াওয়ের বাবা বিখ্যাত লেখক মিন থু উন নিজেও এনএলডি’র সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মিন থু ১৯৯০ সালে এনএলডির হয়ে ইয়াঙ্গুনের কামারিউত টাউনশিপের সাংসদ নির্বাচিত হন।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব