আমেরিকার জনগণ যখন ভোট দেয়া ও গণনায় ব্যস্ত ছিল তখন ভারতীয়রা নোট গণনায় ব্যস্ত ছিল! আর তা হবেই না কেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে দেশের বড় বড় নোটগুলো (৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট) বাতিল করেছেন। এখন কার কাছে কয়টা নোট আছে সেটা দেখতে হবে তো! বিষয়টি এখনও বেশ আলোচিত হচ্ছে।
মোদির এ পদক্ষেপ অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে, অন্য রাজনীতিক দলগুলোই বা এ নিয়ে কী ভাববে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে মজার ব্যাপার হলো, নোট বাতিলের পদক্ষেপ নরেন্দ্র মোদিই প্রথম নেননি। নিয়েছিলেন মোরারজ দেশাই। মোদির মতো ভারতের তৎকালীন এ প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও ছিল গুজরাটে!
১৯৭৮ সালে জরুরি অবস্থা কাটিয়ে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে গুছিয়ে নিচ্ছিল ভারত। সেই সময়ই কংগ্রেস সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন জনতা পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মোরারজ দেশাই। বিরোধী দলের তকমা পেয়ে সেবারও কালো টাকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস।
তার জবাবে ১০০০ টাকার নোট, ৫০০০ হাজার টাকার নোট এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিলের নির্দেশ দেন দেশাই। ওই ঘোষণার পর দেশের সব ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা হয়। সেই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ সফল হয়েছিল তা নয়। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোরারজি দেশাইকে। তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর আই জি প্যাটেলও তার পাশে দাঁড়াননি।
১৯৯৮ সালে ফের এনডিএ সরকার ১০০০ টাকার নোট চালু করে। আজ এত বছর পর আবার টাকা নিয়ে টালমাটাল ভারত। এবার অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর উর্জিত প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে সামনে কী হবে, তা জানতে অপেক্ষা ছাড়া কিছু করার নেই।
বিডি প্রতিদিন/১০ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা