সম্প্রতি আমেরিকান নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে চীন কোন মন্তব্য করেনি। তবে আমেরিকান এই নির্বাচন চীনের জন্য একটি উপহার হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। চীনের বিশ্লেষকরা মনে করেছেন, আফগানিস্তান আর ইরাকে আমেরিকান যুদ্ধের কারণে আমেরিকা যে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে পারে, চীন সেই বিশ্বাস থেকে অনেক আগেই সরে গেছে। তাছাড়া এই নির্বাচনে দুই প্রার্থীর নগ্ন বৈরিতা চীনকে এই ধারণা দিয়েছে যে, আমেরিকানরা ঠিক মতো নিজেদেরই পরিচালনা করতে পারে না। খবর বিবিসির।
চীনের নাগরিক মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, স্পষ্ট কথায় তিনি রাজনীতির বাইরের মানুষ। এসব বিষয় চীনের সরকারকে সুবিধাও করে দিয়েছে। কারণ চীনকে এখন এমন একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হবে, যার পুরনো কোন ধারাবাহিকতা নেই, চীনের বিষয়ে তার পরিষ্কার কোন নীতিও নেই। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, চীনারা আসছে, আমাদের চাকরি নিয়ে যাচ্ছে আর নিজেদের ভাগ্য গড়ছে। তিনি আরো বলেছেন, চীনের প্রতি আমার কোন রাগ নেই, তারা চমৎকার। কিন্তু আমার ক্ষোভ আমাদের নিজেদের লোকজনের প্রতি, যারা আমাদের এখান থেকে তাদের সম্পদ নিয়ে যাওয়াটা মেনে নিয়েছে।
এখন যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার বাজার রক্ষণশীল করে তোলেন, তা হয়তো চীনের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর হবে। তবে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই দরবার করতে পারবে চীন। চীনের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলবিদরা মনে করতে পারেন, ট্রাম্পের শাসনকাল তাদের এমন একটা সুযোগ এনে দেবে, যার ফলে তারা এশিয়ায় আমেরিকার প্রভাব খর্ব করে নিজেদের ক্ষমতার আরো বিস্তার করতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/13