ফ্রান্সের প্যারিসে কৃষ্ণাঙ্গ এক বন্দীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে রণক্ষেত্র পরিণত হলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত শতাধিক। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩৭ জন ফরাসি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, কয়েক দিন আগে ২২ বছরের থিও নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে প্যারিস পুলিশ। জেলে তার উপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তার উপর শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারেরা যৌন নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় সময় রবিবার তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে কোর্ট-হাউসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় প্রায় ২২ হাজার বিক্ষোভকারী। এদের মধ্যে বহু কিশোরও ছিল বলে এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যায়।
বিক্ষোভ চলাকালে একটি ছোট মেয়ে সামান্য আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা আরো জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা ববিগনি এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে একের পর এক বাসস্ট্যান্ড। এছাড়াও কয়েকটি দোকানও ভাঙা হয়। প্রথমে কোর্ট-হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থাটি। তাদের অনেকের হাতে পুলিশের বিরুদ্ধে লেখা একাধিক প্ল্যাকার্ড ছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ধর্ষণ করেছে’ বা ‘পুলিশ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে’র মতো একাধিক স্লোগান। অভিযোগ সেই বিক্ষোভের উপর পুলিশ তেড়েফুঁড়ে গেলে খেপে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর সেভেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার