আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় শশীকলাকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন শশীকলা নটরাজন। উল্টোদিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পন্নিরসেলভম। এখন এটা পরিষ্কার যে, দেশটির তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে নয়, শশীকলার জায়গা হচ্ছে এবার জেলখানায়।
জানা যায়, এর আগে এই মামলায় শশীকলাকে মুক্তি দিয়েছিল তামিলনাড়ু হাই কোর্ট। কিন্তু এদিন হাই কোর্টের সেই রায়কে আমল না দিয়ে নিম্ন আদালতে নেওয়া সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হল, ৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে শশীকলাকে। নিম্ন আদালতে তাঁকে আত্মসপর্মণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ আগামী ১০ বছর নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি৷
ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার প্রয়াণের পর তাঁর ছেড়ে দেওয়া পদে কে বসবেন তা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে শশীকলা এবং পন্নিরসেলভমের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছিল। সোমবার পোয়েজ গার্ডেনে নিজের বাসভবনে দলীয় সমর্থকদের প্রতি ভাষণে পন্নিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন শশীকলা। বলেছিলেন, পন্নিরকে উস্কানি দিচ্ছে ডিএমকে। কিন্তু গদিতে যে তিনিই বসছেন, সেই দাবিই আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এক ঝটকায় ছবিটা পাল্টে গেল। পন্নিরসেলভমের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পথ কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। আম্মার মৃত্যুর পরই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন পন্নির। কিন্তু তারপর তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে অনেক জল গড়ায়। যার ফলে গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আম্মার পছন্দের ব্যক্তি। এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আম্মার পছন্দের প্রার্থীই হয়তো ক্ষমতায় ফিরছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার