ইদলিবে রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ এ ব্যাপারে বলেন, পুতিন এ হামলাকে সার্বভৌম দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে দেখছেন। পুতিনের ধারণা, মিথ্যা অজুহাতে ও ইরাকের মসুলে মার্কিন হামলায় নিরীহ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় পেশকভ আরও বলেন, সিরিয়ার কাছে কোনো রাসায়নিক অস্ত্র আছে বলে রাশিয়া মনে করে না। এছাড়া, মার্কিন হামলার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট গঠনের চেষ্টা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও ধারণা করছে মস্কো।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি শহরে রাসায়নিক হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়। জাতিসংঘ জানায়, ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৭টি শিশু রয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ তোলা হলেও, তা নাকচ করে আসছে দামেস্ক।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নেভি ডেসট্রয়ার থেকে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায় ৫৯টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ার ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সব সভ্য দেশকে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান তিনি।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট