বিতর্কিত অঞ্চল তাওয়াংয়ে বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামার সফর নিয়ে বেশ উত্তপ্ত চীন-ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গণ। তবে এ সফরে গিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছেন দালাই লামা। তাওয়াংয়ের হাজার ভক্ত তাকে সম্মান জানিয়েছেন।
ভারত-চীন সীমান্তে ম্যাকমোহন অঞ্চল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাওয়াং। এটিকে ভারত নিজেদের অরুণাচল প্রদেশের একটি অংশ বলে দাবি করে। অপরদিকে চীনের দাবি, এটি দক্ষিণ তিব্বতের একটি অংশ।
যাই হোক, দালাই লামাকে স্বাগত জানানোর জন্য সেজে ওঠেছে তাওয়াং। রাস্তাঘাট এবং বৌদ্ধ অধ্যুষিত শহরগুলিকে ধর্মীয় পতাকা, ফুল দিয়ে সাজানো হয়। বৌদ্ধ ধর্মগুরুকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করেন তার অনুগামীসহ বিভিন্ন সন্ন্যাসীরা।
দালাই লামার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তাওয়াংয়ে ৯০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে নামে মানুষের ঢল। মানুষের ভিড় ঠেলে ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে দালাই লামার সময় লাগে টানা ৭ ঘন্টা।
ভোর ৪টার কিছু আগে গিয়ে তাওয়াংয়ের বৌদ্ধ মঠে গিয়ে ওঠেন দালাই লামা। এই মঠটি তিব্বতের পোটালা প্যালেসের পর বিশ্বের বৃহত্তম বৌদ্ধমঠ। সেখানে পৌঁছে দালাই লামা ভক্তদের থেকে সম্মান পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, তোমরা সবাই আমার জন্য সারা দিন ধরে অপেক্ষা করেছ। আমি ভুলতে পারবো না যেভাবে তোমরা সবাই আমাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমি কিছুই করতে পারিনি।
এদিন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ভুটান, নেপাল, সিকিম, অাসাম, হিমাচল প্রদেশ থেকেও বহু সন্ন্যাসী এবং অনুগামীরা দেখতে আসেন দালাই লামাকে। তাওয়াংয়ের এক প্রবীন ভক্ত জানান, মানুষের মধ্যে এত উত্তেজনা আর আশা কারণ আমরা জানি না আবার পরে কবে তিনি এখানে আসবেন। উনি আমাদের জন্য ‘জীবন্ত ঈশ্বর’। আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি ওনাকে পেয়ে।
৮১ বছরের এই বৌদ্ধ ধর্মগুরুর সফরে তার সঙ্গী ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খানডু এবং স্পিকার টি এন থংডক। এছাড়া ছিলেন বিধায়ক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাওয়াংয়ে থাকবেন দালাই লামা।
বিডি প্রতিদিন/৮ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা