ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের ঘটনার জন্য এবার বলিউড ও আঞ্চলিক ভাষার ছবিগুলোকেই কাঠগড়ায় তুললেন ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গান্ধী। ছবিগুলিতে রোম্যান্সের দৃশ্যগুলি এবং সবমিলিয়ে নারী চরিত্রের ব্যাখ্যাতেই গলদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গান্ধী পরিবারের পূত্রবধূ।
শুক্রবার গোয়া ফেস্ট ২০১৭’য় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি করছি যেখানে নারীদের ফর্সা এবং রোগা হওয়ার চাহিদাকে ফুটিয়ে তুলা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দি হোক বা আঞ্চলিক ছবি হোক, সর্বত্রই ইভটিজিং দিয়েই রোম্যান্স শুরু হয়।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বলিউডি ছবিতে আইটেম গান হোক বা প্রেমে পড়ার দৃশ্য, সবক্ষেত্রেই নারীদের অসম্মান করার অভিযোগ ওঠে।
কিছুদিন আগেও খ্যাতনামা অভিনেত্রী শাবানা আজমি বলিউডি আইটেম গানগুলির ভাষা নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁর মতে, যেভাবে গানগুলিতে চটুল ভাষায় নারী শরীর ও চরিত্রের বর্ণনা দেওয়া হয় তা কটূক্তির থেকে কোনও অংশে কম নয়। এমনকি, যে বা যারা গানগুলি কম্পোজ করছে এবং যাঁরা এই ধরনের গানকে ছবিতে রাখতে অনুমোদন দিচ্ছে তাঁদেরও একবার ভাবা উচিত। সেন্সর বোর্ডকেও এর জন্য একহাত নিয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর সুরেই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গান্ধী। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, পুরুষদের অক্ষমতা, চাকরিক্ষেত্রে ব্যর্থতাও নারী নির্যাতনের অন্যতম প্রধান কারণ।
এসব ক্ষেত্রে দঙ্গল এবং পিঙ্ক-এর মতো ছবি ব্যতিক্রম হলেও বিজ্ঞাপনগুলি আরও ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে বলে মত তাঁর। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের বেশি করে সম্মান জানাতে পারে এমন ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি করা উচিত।’ এদিন মন্ত্রী হাভাস দিল্লির শিল্পা চৌধুরি এবং আয়ুষী রাস্তোগিকে লিঙ্গ সংবেদনশীলতার পুরস্কার প্রদানের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন