ছোট্ট ভুলের খেসারত ডেকে আনবে গণ বিধ্বংসী পরমাণু যুদ্ধ। এমনই হুঁশিয়ারি দিল জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (The United Nations Institute for Disarmament Research) বা ইউএনআইডিআর। খবর কলকাতানিউজ টোয়েন্টিফোর সেভেনের।
তাদের দাবি, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারে অতি নির্ভরতা পরমাণু যুদ্ধের শুরু ঘটাতে পারে। ড্রোন, কৃত্রিম উপগ্রহ, নেটওয়ার্ক এবং সেন্সর নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশের সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি কারণে চরম বিপদ দেখা দিতে পারে।
ইউএনআইডিআর এমন সময়ে তাদের এই বিবৃতি দিল যখন পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রায় যুদ্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে৷ একইসঙ্গে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ থমথমে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের সঙ্গে জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এতে একটু ভুলের কারণে পরমাণু যুদ্ধ শুরুর আশংকা আরও বেড়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৩ সালে রটে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছোঁড়া পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র মস্কোর দিকে ছুটে আসছে। তারপরেই পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয় সোভিয়েত রাশিয়া। পরে বুঝতে পারা যায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশংকা সত্য নয়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেবার অল্পের জন্য পরমাণু যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১১