ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এবার পাকিস্তানে অভিনব পন্থায় এক শিয়া ধর্মীয় নেতাকে খুন করা হয়েছে। বোরখা পরিহিত তিন নারী ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। পাকিস্তানের শিয়ালকোটে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
নিহত ব্যক্তির নাম ফজল আব্বাস৷ তিনি শিয়ালকোটের শিয়া মুসলিমদের নেতা ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গুরু হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে ইসলামকে অবমাননা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর তিনি পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে ডেনমার্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবার পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
বৃহস্পতিবার বোরখা পরা তিন মহিলা ফজল আব্বাসের কাছে আসেন। তারা ফজল আব্বাসকে তাদের জন্য দোয়া করতে বলেন। দোয়া করার সময় একজন মহিলা পিস্তল বের করে সোজা ওই ধর্মীয় নেতার বুকে গুলি করে। ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ধর্মীয় নেতার।
শিয়ালকোটের পুলিশ জানিয়েছে, তিন মহিলার সঙ্গে কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও নিহত ধর্মীয় গুরু ফজল আব্বাসের পরিবারের অভিযোগ, ওই তিন মহিলা একটি কট্টরপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত। সংগঠনের নির্দেশে তারা খুন করেছে। নিহত ফজল আব্বাসের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্যই তিনি দেশে ফিরেছিলেন। এই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন ফজল আব্বাস।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত পাকিস্তানে অন্তত ৬৬ জনকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে যে আইন আছে তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। বিভিন্ন সময়ে পাক সংখ্যালঘুরা এই আইনের শিকার হন বলে অভিযোগ।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডি প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান