বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নিষেধাজ্ঞা চলছে। আর এমন অবস্থায় দেশটি চীনে থেকে সরবরাহ করা জ্বালানি তেলের ওপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীন তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন। তবে এ প্রসঙ্গে চীনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানা গেছে, রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে তেল সংকটের কারণে বিদেশি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার গাড়িতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দেরও সীমিত তেল দেওয়া হচ্ছে। বহু পেট্রল পাম্পেই দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।
এদিকে, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে বেশ কিছুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার ওপর বাণিজ্য নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন। দেশটি থেকে স্বর্ণ ও মূল্যবান খনিজ পদার্থ আমদানি এবং বিমানের জ্বালানি তেল রফতানি বন্ধেও নির্দেশ দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, পারমাণবিক বোমাসহ কয়েকবার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধ কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকেই উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এবার এ উদ্যোগ নিল।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ