'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য' (এসডিজি) অগ্রগতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের আলোচনা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় আমলারাও এতে অংশ নিচ্ছেন।
২০৩০ সালের মধ্যে এই এসডিজি অর্জনের যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, গত দু’বছরে তার কতটা অগ্রগতিসাধিত হয়েছে তা নিয়েই আলোচনা-পর্যালোচনা করছেন অংশগ্রহণকারিরা।
ইকোসকের প্রেসিডেন্ট ফ্রেডারিক মুসিওয়া শ্যাভা এই রাজনৈতিক ফোরামের উদ্বোধনকালে বলেছেন, আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আমরা যদি একটি সারাংশে উপনীত হতে পারি অর্থাৎ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, তাহলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। আর এজন্যে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াসের। গত দু’বছরে কোন দেশে কতটা অগ্রগতিসাধিত হয়েছে তার ভিত্তিতেই সেসব দেশ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
২০১৫ সালে এসডিজি কর্মসূচি গ্রহণের পর এটি হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠক। চলমান পরিবর্তিত বিশ্বকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে দারিদ্রমুক্ত করা এবং সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবায়িত করতে নয়া এসব উন্নয়ন পরিকল্পনার বিকল্প ছিল না।
শ্যাভা বলেছেন, এবারের মূল ইস্যু হচ্ছে দারিদ্র্য নির্মূল এবং ক্ষুধা দূর করার অগ্রগতির ওপর আলোচনা। স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গ-সমতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অংশিদারিত্বের ধারা বলিষ্ঠ করা নিয়েও আলাপ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ বেশ ক'টি রাষ্ট্র স্বেচ্ছায় তাদের অগ্রগতির চিত্র উপস্থাপনের অঙ্গীকার করেছেন। এমন ৪৪টি দেশের মন্ত্রীরাও রয়েছেন জাতিসংঘের এই ফোরামে। ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই আলোচনা-পর্যালোচনা।
বিডি প্রতিদিন/১২ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা