মরে গেলেও ব্রেক্সিট থেকে পিছু হটবেন না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে টানা দুই দফা হারের পর ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজের অবস্থানের পক্ষে তার এই অনড় অবস্থানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন বরিস।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কোনও চুক্তি ছাড়াই নির্ধারিত তারিখে কার্যকর করা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনও চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। কিন্তু বরিসকে হারিয়ে সংসদীয় কার্যবিধির নিয়ন্ত্রণ পাওয়া বিরোধীদল লেবার পার্টি বলছে, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট আটকাতে তারা বদ্ধপরিকর।
২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চার দশকের সম্পর্কচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয় যুক্তরাজ্যবাসী। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এই জোট থেকে কোন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য আলাদা হবে এবং এরপর ইইউভুক্ত বাকি ২৭টি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে, সেসব বিষয়ে ব্রিটিশ এমপিরা একমত হতে না পারায় ইইউ থেকে এখনও ‘মুক্তি’ মেলেনি ব্রিটেনের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেঁধে দেওয়া সর্বশেষ সময় অনুযায়ী, বিচ্ছেদ প্রশ্নে ব্রিটেন কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারুক বা না পারুক, ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে বিচ্ছেদ হবে হুট করেই, বিচ্ছেদ পরবর্তী সম্পর্ক কেমন হবে, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর কাঠামো কেমন হবে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ধরনই বা কী হবে- সেসব বিষয় অনির্ধারিতই থেকে যাবে। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম