বিচ্ছেদ নিয়ে খুবই বাজে উদাহরণ তৈরি হয়েছে চীনের সামাজিক জীবনে। দেশটির সরকারি তথ্য যে হিসেব বলছে, ২০২০-র শেষ তিন মাসে বিচ্ছেদে হয়েছে ১০ লক্ষ দম্পতির। তাই মহামারীর বছরেও চীনকে ভাবিয়েছে এই বিষয়টা। নতুন বছর শুরু হতেই তাই বিচ্ছেদের নিয়মে বড়সড় বদল বেইজিং। খবর টিভি নাইনের।
তাতে বিপত্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে নতুন সিভিল কোড এনেছে চীন। আর সেখানে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নতুন এক নিয়মের সংযোজন হয়েছে, যার নাম ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’। অর্থাৎ এবার থেকে আর চাইলেই ডিভোর্স হবে না। বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সময় নিতে হবে। ৩০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আর নতুন এই নিয়মে বেজায় চটেছেন চীনারা।
সম্পর্কই যখন থাকে না, তখন আর এক মাস কিসের অপেক্ষা? এই প্রশ্নেই সরব সে চীনা কাপলরা। চিনের প্রচলিত সোশ্যাল মিডিয়া ‘ওয়েবো’ জুড়ে ট্রেন্ডিং এই নতুন আইন। কেউ বলেছেন, ‘সম্পর্ক যখন ভেঙেই গেছে তখন এই এক মাস একসঙ্গে থাকাটা অসহ্য হয়ে উঠতে পারে।’উল্লেখ্য, চীনে আগে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আইনি লড়াইয়ে দরকার ছিলো না। ২০০৩ সালের নিয়মানুযায়ী দু’জনের ইচ্ছা থাকলেই বিচ্ছেদ সম্ভব কোনও ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই। আর সেই নিয়মের আশ্রয় নিয়েই বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়তে থাকে হু হু করে। প্রত্যেক বছর সংখ্যাটা যেভাবে বাড়ছে তাতেই উদ্বেগে চীনের বর্তমান সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক