সশস্ত্র ড্রোনের তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম দিকের নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক। নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে গত বছর আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানকে এই ড্রোন দিয়েছিল তুরস্ক। ছয় সপ্তাহের ওই যুদ্ধে আজারবাইজানকে এগিয়ে রেখেছিল এই ড্রোন।
এবার তুরস্কের কাছে সেই সামরিক ড্রোনের সরবরাহ পেতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।
মঙ্গলবার এমন তথ্যই দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এরই মধ্যে তুরস্কের ভেস্টেল কোম্পানির সঙ্গে ইতোমধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তি হয়েছে রিয়াদের। এতে সৌদি আরব তাদের নিজেদের সামরিক ড্রোন তৈরি করতে পারবে।
কিন্তু তুরস্কের দীর্ঘদিনের বৈরী গ্রিসের সঙ্গে সৌদি আরবের বিমান মহড়ায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে এরদোয়ানকে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আঙ্কারার সঙ্গে সৌদির ড্রোন চুক্তি হবে কিনা তা নির্ভর করছে রিয়াদের ভবিষ্যৎ আচরণের ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, গ্রিসের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। একই সময় তারা আমাদের কাছ থেকে সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চায়। আমার প্রত্যাশা— কোনও ধরনের উত্তাপ ছাড়াই শান্তভাবে এই ইস্যুর সমাধান হবে।
তবে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে যে, ইয়েমেনে সৌদির সামরিক অভিযানের কারণে আরোপ করা পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে অস্ত্র কিনতে বিকল্প খুঁজছে রিয়াদ।
গেল কয়েক মাসে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক বৈরীদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন এরদোয়ান।
২০১৭ সালে কাতারের পক্ষে তুরস্কের সমর্থনের পর সৌদির জোট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। কিন্তু ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো মিসরের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের কথা জানিয়েছে তুরস্ক।
রিয়াদের সঙ্গেও বিরোধ দূর করার পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম