ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে তা থেকে আমেরিকাকে প্রচারণাগত সুবিধা আদায় করতে না দেওয়ার লক্ষ্যে তেহরান চারটি শর্ত দিয়েছে।
ভিয়েনা আলোচনায় অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম’ এই খবর দিয়েছে।
ইরানের প্রথম শর্ত হচ্ছে, দেশটির ওপর থেকে আমেরিকার আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামল থেকে শুরু করে বিগত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ পর্যন্ত পরমাণু সমঝোতার নামে বা অন্য যেকোনও নামে যত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তার সবগুলো তুলে নিতে হবে।
ইরানের দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, স্টেপ বাই স্টেপ বা পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ইরান মানবে না। এক স্টেপে একসঙ্গে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
ভিয়েনা আলোচনার জন্য ইরানের তিন নম্বর শর্ত হচ্ছে, আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ মেনে নেওয়া হবে না। অতি দ্রুততার সঙ্গে এই আলোচনা শেষ করতে হবে। যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় তাহলেও দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। আর যদি তা করা না হয় তাহলেও অনতিবিলম্বে আলোচনার ইতি টানতে হবে।
ইরানের চার নম্বর শর্ত হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে তার কার্যকারিতা দেখার জন্য ইরানকে সময় দিতে হবে। প্রকৃত অর্থেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা যাচাই না করা পর্যন্ত ইরান পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাবে না।
আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো অতীতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তাদের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের নামে বছরের পর বছর আলোচনা চালিয়ে গেছে। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ইরান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারও যাতে সময়ক্ষেপণ করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তেহরানের পক্ষ থেকে এসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
