আগামী ৩১ জানুয়ারী থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভারতের বাজেট অধিবেশন। দুই দফায় আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই অধিবেশন।
প্রথম দফার বাজেট অধিবেশন চলবে ৩১ জানুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এক মাসের বিরতির পর দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৪ মার্চ, চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন সকাল ১১টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংসদের উভয় কক্ষে বক্তব্য রাখবেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রথম দফায় বাজেট পেশ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় দফায় অর্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ, আলোচনা ও বিল পাশ করানো হবে।
দেশ জুড়ে কোভিড-১৯ আবহের মধ্যেই শুক্রবারই সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তরফে এক নির্দেশিকা প্রকাশ করে অধিবেশনের দিন ঘোষণা করা হয়। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন ধরন ওমিক্রণের দাপটের মধ্যে অধিবেশন চালানে রীমিতো চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই দেশটির একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ করোনায় আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, সংসদের উভয় কক্ষে (রাজ্যসভা ও লোকসভা) সচিবালয় ও সহযোগী পরিষেবায় যুক্ত প্রায় কয়েক শতাধিক কর্মীও সংক্রমিত। তারা প্রত্যেকেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশনে যোগ দিতে গেল প্রত্যেক সাংসদদেরই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ’এর সনদ এবং আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে সংসদ চত্ত্বরে প্রবেশ বাধ্যতামূলক।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কিন্তু চলতি মাসের শেষে করোনা পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়-তার ওপরে নির্ভর করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ২৫ ও ২৬ জানুয়ারী লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন যে অধিবেশন কিভাবে চালানো সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
