ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে। সম্প্রতি লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এবার এই উত্তেজনার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়ায় আলোচনায় স্থান পেয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের দুটি কুকুর।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে উপহার হিসেবে এক জোড়া কুকুর দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ২০১৮ সালের শীর্ষ সম্মেলনের পর কুকুর দুটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এখন কুকুরগুলোকে নিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তিনি এগুলোকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মূলত কুকুরের দেখাশোনার জন্য কে অর্থায়ন করবে তা নিয়ে তার এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুন জায়ে-ইন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছেছ।
গত মে মাসে ক্ষমতা ছাড়ার পর ‘গোমি’ ও ‘সোংগাং’ নামের সাদা পুংসান জাতের কুকুর দুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মুন। আইনগতভাবে এই কুকুরগুলো প্রেসিডেন্টের আর্কাইভের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হওয়ার কথা।
এদিকে মুনের অফিস বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্টকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই দুই কুকুরের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব দিতে এবং এই প্রক্রিয়াকে সহজ করতে আইন সংশোধনেরও চেষ্টা করে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের প্রশাসনের বিরোধিতার কারণে তা ভেস্তে যায়।
মুনের অফিসের পক্ষ থেকে একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের অফিস পুংসান কুকুরগুলোকে ইতিবাচকভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুনের কাছে দিতে চাইছে না। যদি তাই হয়, আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারি। কারণ এই ধরনের একটি দায়িত্ব উভয়পক্ষের সদিচ্ছার ওপর ভিত্তি করেই হয়। যদিও তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে দুঃখজনক। কারণ তারা বহুদিন সাবেক প্রেসিডেন্টের সহচর ছিল।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউনের অফিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রেসিডেন্ট অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্থাগুলোর মধ্যে এ নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক চোসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়, মুনকে মাসে ১৮০০ ডলারের ভর্তুকি দেওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্র: রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, স্কাই নিউজ, সিবিএস নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/কালাম