রুশ সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর শুক্রবার খেরসন শহর দখলমুক্ত করেছ ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে ইউক্রেনের আশঙ্কা, রুশ সেনারা এখন নিপ্রো নদীর ওপারে অবস্থান নিয়ে গোলা হামলা শুরু করতে পারে। সে কারণে ওই নদীপথে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার বিস্ফোরক ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন যারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাদের এখনই বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে মাইন পুঁতে রাখা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিরতে বলা হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনে কারফিউ জারি করেছে। খেরসন থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরের এলাকা থেকে খেরসনে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
রবিবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৪০০-এর বেশি যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, খেরসনে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রুশ সেনাবাহিনী আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে ঢুকে নৃশংসতা চালিয়েছে, একই ধরনের নৃশংসতার চিহ্ন খেরসনেও রেখে গেছে তারা। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
বিবিসি বলছে, তারা ইউক্রেনের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে মস্কো বরাবরই বলে আসছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বুচা, ইজিয়াম, মারিউপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ সেনারাই এ নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল