বর্তমানে তুরস্কে সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো তুরস্কে গেলেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন ব্লিংকেন। সবশেষ শুক্রবার ইসরায়েলে যান তিনি। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জর্ডান, ফিলিস্তিনের পর তুরস্কে গেছেন ব্লিংকেন।
শুধু তাই নয়, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কার মাঝেই আকস্মিক সফর করেছেন ইরাকেও।
রবিবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির সাথে বৈঠক করেন ব্লিংকেন। তাতে মার্কিন বাহিনীর উপর হামলার বিরুদ্ধে বাগদাদের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ব্লিংকেন বলেন, আল-সুদানির সাথে ফলদায়ক আলোচনা হয়েছে। ইরাকি প্রতিপক্ষ হামলা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কাজ করছেন।
ব্লিংকেন বলেন, এটি ইরাকি সার্বভৌমত্বের বিষয়। কোনো দেশ চায় না যে মিলিশিয়া গ্রুপগুলো সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত থাকুক।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “এই ধরনের আক্রমণ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমাদের একটি যৌথ উদ্দেশ্য এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে।”
আল-সুদানির সরকারের সাথে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে তিনি প্রকাশ্যে তার দেশে মার্কিন বাহিনীর উপর হামলার নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং সঙ্কট মোকাবিলায় ও এর বিস্তার রোধের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলেছে, ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের বাহিনীর উপর একাধিকবার রকেট এবং ড্রোন হামলা হয়েছে। এসব হামলার বেশিরভাগই ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এই হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ