ইসরায়েলি হামলা জোরদার হওয়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মিশরের রাজধানীতে যা ঘটছে ফিলিস্তিনিরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গত কয়েকদিন ধরে দারুণ আশাবাদী মনোভাব তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু হামাস ও ইসরায়েল কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে রাজি নয়। এটা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুদ্ধবিরতির আশা ক্ষীণ হচ্ছে।
খবর অনুসারে, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে হামাস। অন্যদিকে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মিসরের রাজধানী কায়রোয় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করছে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে গতকাল দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যেকোনো যুদ্ধবিরতি সমঝোতায় অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে হামাসের প্রতিনিধিদল।
পরোক্ষ কূটনীতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কায়রো সফরে যাননি। তবে গতকাল নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস নিজেদের অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে। এর মধ্যে প্রথম হলো গাজা থেকে আমাদের বাহিনীগুলো প্রত্যাহার, যুদ্ধ শেষ করা এবং হামাসকে ক্ষমতায় রাখা। ইসরায়েল এটা মেনে নিতে পারে না।’
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর বিবৃতি দেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এতে তিনি বলেন, হামাস সমন্বিত যুদ্ধবিরতি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী, যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান হবে, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা থাকবে এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
এদিকে, ইসরায়েল গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। একাধিক এলাকাযর আবাসিক ভবন এবং খামার জমি লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট করছে, রাফাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে আটজন শিশু রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল